১.২.২ ডাটা কোডিং-এর বিভিন্ন মেথড ইলাস্ট্রেটকরণ (Illustrating Different Methed of Data Coding)

এইচএসসি (বিএমটি) ভোকেশনাল - কম্পিউটারাইজড অ্যাকাউন্টিং সিস্টেম-২ - অধ্যায় ১: উৎস দলিলাদি ও কোডিং শনাক্তকরণ এবং ম্যানেজমেন্ট রিপোর্টিং, | | NCTB BOOK
4

ইতোমধ্যে আমরা একটি প্রতিষ্ঠানের কোডিং সিস্টেম স্থাপন, এর প্রয়োজনীয়তা ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে

উদাহরণসহ বিস্তারিত ধারণা লাভ করেছি। একটা প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন মেঘতে তাদের কোডিং কাঠামো

(Coding structure) সাজাতে পারে। এ সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো- সিকোয়েনশিয়াল কোড (Sequential code): এটি খুবই সহজ একটি কোডিং মেঘন। এই পদ্ধতিতে একটি আইটেম ও তার কোডের মধ্যে কোন নির্দিষ্ট সম্পর্ক থাকে না। একটি করে আইটেম সংযুক্ত হলে কোডের সংখ্যাও ক্রমানুসারে বাড়তে থাকে। অর্থাৎ কোড থেকে আইটেম সম্পর্কে কোন নির্দিষ্ট ধারণা লাভ করা যায় না। মনে করি, একটি খুচরা স্টেশনারি পণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্যের জন্য একটি

সহজবোধ্য সিকোয়েনশিয়াল কোডিং পদ্ধতি ব্যবহার করে। যেমন-

00010 A4 সাইজের কাগজ 00011 বল পয়েন্ট কলম

00012

পেন্সিল

কম্পিউটারাইজড অ্যাকাউন্টিং সিস্টেম-২

ব্লক কোড (Block code): ব্লক কোডিং পদ্ধতি কিছুটা সংঘবদ্ধ। এখানে প্রতিটি আইটেমকে একটি করে ব্লক

বা গ্রুপে শ্রেণিবদ্ধ করে এবং কোডের প্রথম অঙ্কটি (Digit) উক্ত গ্রুপে নির্দেশ করে। পরবর্তীতে অঙ্কগুলো

ক্রমানুসারে বসানো হয়। এই পদ্ধতিতে কোডের প্রথম অঙ্ক দেখে কোডটি কোন গ্রুপে অন্তর্ভুক্ত সে সম্পর্কে

ধারণা লাভ করা যায়। একটি উদাহরণ চিন্তা করা যাক, যেখানে একটি প্রতিষ্ঠান তাদের উৎপাদিত পণ্য শ্রেণিবদ্ধকরণের জন্য ব্লক

কোড ব্যবহার করে

ফেসেটেড কোড (Faceted code) ব্লক কোড-এর উন্নত রূপে ফেসেটেড কোড ব্যবহারকরণ হয়, যেখানে কোডের প্রতিটি অঙ্ক একটি করে নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য নির্দেশ করে। যেমন: পূর্ববর্তী উদাহরণের আলোকে যদি আমরা বিশ্লেষণ করি প্রতিটি আইটেম বিশ্লেষণে তিন অঙ্কের কোড ব্যবহার করা হয়। যেখানে প্রথম অঙ্ক (First digit) কোন আইটেম তা নির্দেশ করে। দ্বিতীয় অঙ্ক আইটেমটির কিসের তৈরি তা নির্দেশ করে এবং তৃতীয় অঙ্ক আইটেমের আকার নির্দেশ করে।

হায়ারারকিক্যাল/অনুক্রমিক কোড (Hierarchical code): এটি এক ধরনের ফেনেটেড কোড যেখানে প্রতিটি অঙ্কে (Digit) একটি করে শ্রেণিকে নির্দেশ করে এবং ডানপাশের অঙ্কটি তার পূর্ববর্তী অঙ্কটি দ্বারা নির্দেশিত শ্রেণির একটি সাবসেট। এভাবে একটি কোডের বাম থেকে ডানদিকে একটি অনুক্রমে অগ্রসর হতে থাকে। যেমন— কোনো কোডের প্রথম অঙ্ক দিয়ে আইটেমের ধরন নির্দেশিত হলে এর পরবর্তী অঙ্ক অর্থাৎ দ্বিতীয় অঙ্ক আইটেমের সাধারণ বর্ণনা দিবে। তৃতীয় অঙ্ক সাধারণ বৈশিষ্ট্যকে আরো নির্দিষ্টভাবে ব্যাখ্যা করবে। অর্থাৎ যত বাম থেকে ডানদিকে অগ্রসর হবে আমরা একটি অনুক্রম (Hierarchy) দেখতে পাব। যেমন— একটি ফার্নিচার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান তাদের তৈরিকৃত ফার্নিচারের জন্য কোডিং করবে, তা যদি Hierarchical code ব্যবহার করে তার একটি উদাহরণ চিন্তা করি।

এখন কাঠের ফার্নিচারের জন্য-

৩য় ডিজিট 1. সেগুন কাঠ 2. মেহগনি কাঠ

ধাতব ফার্নিচারের জন্য- আ ডিজিট

1. লোহা 2. অ্যালুমিনিয়াম 3.

এখন, মেহগনি কাঠের চেয়ারের কোড 112। এখানে আমরা কোডটি যতই বাম থেকে ডান দিকে যাই

একটি অনুক্রম দেখা যায়। নেমনিক কোড (Mnemonic code): নেমনিক কোড মূলত মনে রাখা সহজ এবং দ্রুত মনে করা যায়

এমন বিষয়কে বোঝায়। কোন শব্দ / আইটেম (Item) এর নামের সংক্ষিপ্তরূপ কোড হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আমরা ক্রিকেট ম্যাচে যেমন দেখি স্কোরকার্ডে দুই দলের নামের সংক্ষিপ্তরূপ দেখা যায়। যেমন— বাংলাদেশের ক্ষেত্রে BAN, অস্ট্রেলিয়ার জন্য AUS, ইন্ডিয়া IND, পাকিস্তানের PAK ইত্যাদি। একটি প্রতিষ্ঠান যাদের দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কার্যক্রম বিস্তৃত তারা তাদের আঞ্চলিক বিক্রয় বিশ্লেষণের জ নেমনিক কোড ব্যবহার করতে পারে। যেমন-

Dhaka এর জন্য কোড Dhk

Sylhet এর জন্য কোড Syl

Chittagong এর জন্য কোড Ctg

এভাবে বিক্রেতা অথবা ক্রেতার জন্য কোডিং করলে তাদের নামের সংক্ষিপ্তরূপ ও ব্যবহার করা যায়।

Content added By
Promotion